Fri. Jun 9th, 2023

North Sikkim travel experience | উত্তর সিকিম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা

পর্ব – ১

লেখাপড়ার সূত্রে কলকাতা আসা এবং কর্মসূত্রে এখন কলকাতায় থাকি। তিলোত্তমা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে, তার মধ্যে একটি আমার বান্ধবী। কলেজের তিনটি বছর বাবা মা , ঘর ছেড়ে দূরে থাকার যন্ত্রনা তার সাহচর্যে কমেছিল বেশ। সকলের মত আমরাও কলেজের শেষে চাকরি পেয়ে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম এবং এখন সেই স্বপ্নগুলোই টুকটুক করে দুজন মিলে পুরো করছি।সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এইবার বছর শেষে টুক করে ঘুরে এলাম নর্থ সিকিম ও গ্যাংটক। তিনমাস আগে টিকিট কাটা সত্ত্বেও টিকিট কনফার্ম হলোনা, আমরা গেলাম আর-এ-সি তে। ২৩ থেকে ২৭ শে ডিসেম্বর মোট পাঁচ দিনের পরিকল্পনা।খাওয়া দাওয়া সেরে ২২শে ডিসেম্বর রাত ১০.৪৫ মিনিটে এ হাওড়া স্টেশন থেকে পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে চড়ে বসলাম আমরা তিন বন্ধু। আমাদের তিন জনের মধ্যে আমি বাদে দুজন হায়দ্রাবাদ নিবাসী। একজন কর্ম-সূত্রে ও অন্যজন জন্মসূত্রে। আর আমি কলকাতা থেকে। ট্রেনে উঠে একবছরের জমানো গল্প করতে করতে কখন রাত বেড়ে গিয়ে বেশ শীত করতে শুরু করেছে খেয়ালই হয়নি। ভাগ্যের ফেরে একটি ফাঁকা সিট ও জুটে গেল। একজন সেই সিটে ও আমরা দুই বান্ধবী একটি সিটে গুতগুতি করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

ঘুম ভাঙল বড় অদ্ভুত গম্ভীর অথচ চাপা গর্জনের শব্দে। ধড়মড় করে উঠে বসতেই লক্ষ্য করলাম আমার মত আরো অনেকেই আমাদের সিটের কাছে এসে উকি মেরে এই শব্দের উৎস সন্ধান করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। এবং একই সাথে আবিষ্কার করলাম আমাদের বিপরীত প্যাসেজের পাঁচ জন সহ যাত্রী ও আমাদের বন্ধুটি একই সাথে নানান ধরণের সুর ও শব্দ সহযোগে এক নাগাড়ে নাক ডেকে চলেছেন, এবং একসাথে এই ৬জনের সুর মিশ্রিত হয়ে ভয়ঙ্কর এক শব্দ সৃষ্টি। এদিক অদিকের সহযাত্রী রা এসে কিছু মন্তব্য ও গুঁতো মেরে তাদের প্রত্যেককে জাগিয়ে দিয়ে ফের যে যার মত ঘুমোতে চলে গেলেন।

(ক্রমশ..)

By Suparna Ghosh Kunda

নিজের কথা লিখতে গেলে গুলিয়ে যায়, বলতে জিভ জড়িয়ে যায়। তবুও নিজের কথা বলতে কার না ভালোলাগে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *