আমার কথা

ঢাক পিটিয়ে পরিচয় দেওয়ার মত ‘আমি’ তেমন কেউ নই। আর ৫ জনের মতো আমার আমি, আমার কাছে ভীষণ দামি। এই দুই অক্ষরের ‘আমি’র অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছিল ৮০র দশকের শেষের দিকে। দিনটি ছিল কার্তিক মাসের ষষ্ট দিন, এক অমাবস্যা রাত, ঘড়িতে তখন ১০টা। গা ছমছমে পরিবেশে আমার আবির্ভাব। ধ্যারধ্যারে গোবিন্দপুর সমতুল্য গ্রাম, গ্রামের নাম চড়ুইগাছি। ছোটবেলায় প্রচুর চড়ুইপাখী দেখেছিলাম আমাদের গ্রামে, তবে এখন আর চোখে পড়বে না। পরিবেশ বদলেছে, বদলেছে আবহাওয়া, সেই সাথে বদলেছে আমার বাসস্থান।

শৈশব কেটেছে চড়ুইগাছি গ্রামে, কৈশোর কেটেছে বারাসাত মফস্বলে। তবে এখন বারাসাত এক পূর্ণাঙ্গ জেলার সদর শহর। যৌবন কেটেছে নানা স্থানে। পড়াশোনা সূত্রে বারাসাত থেকে সোজা মুর্শিদাবাদের এক গ্রাম। তার পর যথাক্রমে হায়দ্রাবাদ, দুর্গাপুর, আওরঙ্গবাদ (মহারাষ্ট্র), বেঙ্গালুরু। দুর্গাপুর, আওরঙ্গবাদ (মহারাষ্ট্র), বেঙ্গালুরু অবশ্য কর্ম সূত্রে। যৌবন প্রায় শেষ, আজ আমি মধ্যবয়সী। বহুবার পেশা বদলেছে, বদলেছে কর্মক্ষেত্র। প্রত্যেকবার মানিয়ে নিতে হয়েছে নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশে। কোথায় যেন পড়েছিলাম যে, মানুষ কে তরলের মতো হওয়া উচিৎ, যে পাত্রেই ঢালা হোক অনায়াসেই যেন সেই আকৃতি নিতে পারে।

মনের ভাব লিখে প্রকাশ করা শুরু কলেজ জীবন থেকে। অন্যদের মতো প্রেম পত্র লিখে প্রেমিকা কে মনের ভাব প্রকাশ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কারণ তখন সকলের হাতে হাতে মুঠো ফোন। অর্কুট আর ফেসবুকের হাত ধরে প্রথম দুই চার লাইন লেখা। হঠাৎ এক বাল্যবন্ধু উপহার দিয়েছিল sanjayhumania.com আর সেই থেকে টুকিটাকি অভিজ্ঞতা লিখতে শুরু করি। আমি লেখক বা কবি নই, আবার ফেসবুক কবি বা লেখক হওয়ার কোন ইচ্ছাই নেই। যুগযুগ ধরে মানুষ নিজেকে সকলের সামনে তুলে ধরতে নানা কায়দা, কৌশল, উপায়, পথ অবলম্বন করেছে। আমি বেছে নিয়েছি এই ব্লগ।

আর বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনি যেহেতু এটা পড়ছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগে চরণধূলি দেওয়ার জন্য। মাঝে মাঝে আসবেন, আমার ভাল লাগবে।

ধন্যবাদ!
সঞ্জয় হুমানিয়া – বেঙ্গালুরু এপ্রিল ২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *