কামাতুর কৃষ্ণ কহে,ওহে প্রিয়তমা
ব্রজবাসী রাখালেরে কোরো তুমি ক্ষমা,
ত্রিভুবন মোহিনী রূপ,ভুলিতে না পারি
তাম্বুল প্রেরিত করি,মনোবাঞ্ছা ভরি।
পত্র হেরি ক্ষুব্ধ রাধা ,গর্জিয়া উঠিল
রাগে লাজে শুভ্র বর্ণ রক্তিম করিল,
স্বামী সংসার ছাড়ি আমি প্রেমেতে পরিব?
এমন কুমতি আগে প্রানেতে মোরিব,
রাখালেরে বলো গিয়া ভ্রষ্ট মতি তোর
কৃষ্ণমোহে ছারিবোনা লাজলজ্জা মোর।
কৃষ্ণ লীলা বোঝা দায়,নির্বোধ রাধারানী
মোহে মোহিত করিতে কৃষ্ণ প্রসারিণী।
ভার বহে,ছত্র ধারী,শ্রীকৃষ্ণ প্রাণ সখা
মিলনের প্রতিশ্রুতি দিয়া মিথ্যা দিল আশা।
দিন যায়,কাল যায়,যৌবন গর্গরী
কৃষ্ণ প্রেমে রাধা রানী,মোহিত কিশোরী।
সংসার নাগপাশে বদ্ধ নিরুপায় মোহিনী
বড়াইরে মিনতী করি,হেরে কৃষ্ণ বাণী।
প্রিয় লাগি বৃন্দাবন পুস্পকুঞ্জ সাজি
মিলনের ইচ্ছে রাধা কহিল প্রকাশি।
নব অনুরাগী রাধা,কিছু নাহি মানিতে বাঁধা
কহিল সখিরে মম আনন্দের ওর
চিরদিন বেণীমাধব মন্দিরেতে মোর।
মোদনবানে বিদ্ধ করি, মোহমুগ্ধ রাধারে
মিলন পাগলিনী করি কৃষ্ণ,আত্মগোপন করে।
না পায় প্রাণনাথ দেখা খুঁজিয়া খুঁজিয়া মরে,
কৃষ্ণ বাঁশির সুরে হৃদয় উথাল পাথাল করে।
গৃহ কাজে মন নেই,এ কেমন আকুলতা
অবশেষে হরিতে বেনু রাধার ব্যাকুলতা।
মিলনে তৃপ্ত রাধা,নিদ্রা মগ্ন রূপ
প্রণয়িনী পরিত্যাগিল কৃষ্ণ,ঘাতক স্বরূপ।
নিদ্রাভঙ্গ পরে কৃষ্ণরে দেখিতে না পারি,
প্রিয়ার ব্যাকুল হৃদয়,ভাসে অশ্রু বারি।
তোমারে ভুলিতে মোড় হয় না যে মতি
জগৎ সংসারে কারো নেই তাতে ক্ষতি,
কেন এইটুকু দিন সোহাগের ভারে
ডাকিলে আমায় তুমি বার বার করে!
আজি ডাকিবার দিনে এ হেন সময়
শরম সোহাগ সব হাসিল কৌতুক ন্যায়।
আঁধার গগন পৃথ্বী পদচিহ্ন নীল
কৃষ্ণ বিনা রাধা জীবন পরিচয় হীন।
আমি প্রভু দীন বটি,তুমি প্রভু ধ্বনি
দেবতার অংশ বলে করে গেলে ঋণী,
রাধা কহে সখী আমার দুঃখের নাহি ওর
ভরা বাদর দিনে আজি শূন্য মন্দির মোর।।
— সুপর্ণা ঘোষ (১৭ জুলাই ২০১৭)