ওদের দেখা হয় ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন এর পাঁচ নম্বর গেট এর সামনে, মেয়েটি পরেছিোল লাল সালোয়ার কারণ লাল রং ছিল ছেলেটির ভীষণ প্রিয়। কি ভীষণ ধুকপুক, মেট্রো থেকে নেমে ২ মিনিট বসেছিল সোমা, বেরিয়ে আসার আগে। এক্সকলেটরে উঠতে উঠতে কল করলো রিদ্ধিকে। ধুর মেট্রো স্টেশন থেকে না বেরোলে, টাওয়ারের এই প্রবলেম। বেরিয়ে এসে নিজেকে সামলে এক কোনে দাঁড়ালো সোমা। বহু আকাঙ্খিত সেই মুহূর্ত আসতে চলেছে। মনের ভেতর একটা ছোট খাটো সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে। নাহ! টেনশন সামলানো যাচ্ছেনা, একটা ছোট নেভিকার্ট ধরালো সোমা। দূরে ঘড়ি ঘরটা দেখা যাচ্ছে। এত বেস্ত রাস্তায় কেবল যেন সোমার সময়টা টুপ করে থেমে গেছে। কি করা যায়, ইতি উতি চোখ বুলিয়ে নিয়ে ফোনে কনসনন্ট্রেট করলো।
তারপর এলো সেই ভীষণ মুহুর্ত, একটা কালো গেঞ্জি, গাল ভর্তি দাঁড়ি ঠিক যেমনটা সোমার পছন্দের। কবি কবি চেহারা, হাত মিলিয়ে আলাপ পর্ব সারলো দুজন।
ওদের আলাপ মুখপুস্তিকাই। মাত্র ১৯ দিনের আলাপ, ১৩ই ফেব্রুয়ারি দেখা হলো। উদ্দেশ্য সমর্পণের। হাত রাখল হাতে, হাটলো কিছুক্ষন, ধর্মতলা থেকে কিছু কেনকাটাও করলো, তারপর কিনলো একটা কাঠের ছোট্ট কৌটো।
সে কৌটোটা এখনো আছে, সোমা ভেবে ছিল, কখনো বিয়ে করলে সিঁদুর রাখবে ওটায়। কিছু কিছু সরস্বতী পুজো কারোর জীবনের কেলেন্ডারে চির স্মরণীয় হয়ে যায়।
— সুপর্ণা ঘোষ (২৭ জানুয়ারী ২০১৮)